21 Nov 2024, 06:16 pm

নিয়মিত ও বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :   নিয়মিত ও বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল নিধন করে সফলভাবে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী।
আজ বুধবার ডিএসসিসির জরুরি পরিচালন কেন্দ্র (শীতলক্ষ্যা হল) থেকে ‘মশক নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত কার্যক্রম’ সরাসরি তদারকি শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেন, ‘এডিস মশার লার্ভা বিনষ্ট এবং জীবন্ত ও  উড়ন্ত মশা নিধনের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করা হচ্ছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর যে তালিকা পাওয়া যায়; সেসব রোগীর ঠিকানা অনুযায়ী বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সেই বিশেষ কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করা হয় তা আপনারাও লাইভে প্রত্যক্ষ করেছেন। এছাড়াও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম আরও সুন্দর, সুষ্ঠু এবং সুচারুরূপে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত এবং বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে এবার সফলভাবে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এ বছরের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি হলে এডিস মশা বেঁচে থাকতে পারে না। এ বছর একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। ফলে, তাপমাত্রার কারণে মশার ডেনসিটি অনেকটাই কমে গেছে এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের জন্য অনেকটাই অনুকূলে ছিল। আমরা আশাবাদী, এ বছর কোনো সমস্যা হবে না। কোনো ধরনের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে রেসপন্স করব।’
এর আগে প্রশাসক ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত কার্যক্রম ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
এসময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহতাব আহমেদ, সিস্টেম এনালিস্ট মো. আবু তৈয়ব রোকন, নির্বাহী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *